বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা প্রিয়দর্শনী মৌসুমী এবারও তার জন্মদিন উদযাপন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। গত বছর অক্টোবর মাসে তিনি নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন এর মধ্যে মৌসুমীর আর দেশে ফেরা হয়নি। তবে ইচ্ছা ছিল এর মধ্যে একবার দেশে ফেরার। কিন্তু আপাতত তিনি দেশে ফিরছেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে মৌসুমীর জন্মদিন উপলক্ষে তার ভক্তরাও দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানান মৌসুমী। তবে এবার দেশে থাকলে দিনটি একটু বেশি বিশেষভাবে উদযাপিত হতো। এদিকে নিজের জন্মদিন উপলক্ষে তেমন বিশেষ কোন আয়োজন নাই মৌসুমী। মৌসুমী বলেন জন্মদিন নিয়ে এবার বিশেষ কনোই পরিকল্পনা নেই। আমার একমাত্র কন্যা ফাইজার খুব ইচ্ছে আমি যেন ঘরেই থাকি, শুধু তাকেই সময় দেই। তো ফাইজাকে সময় দেব। যদি সময় সুযোগ হয় হয়তো আশেপাশেই ফাইজাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হব।
বাসায় আমি নিজের হাতেই রান্না করব, একটি কেকও বানাবো। সাথে ফাইজার নানি ও খালামণি (স্নিগ্ধা) আছেই। তাদেরকে নিয়েই জন্মদিনের সময়টা নিজের মনের মত করেই কাটানোর চেষ্টা করব। তবে হ্যাঁ, খুব মিস করব সানিয়ার ফারদিন কে। তারা এই মুহূর্তে সাথে থাকলে হয়তো সময়টা আরো অনেক বেশি ভালো লাগার, আনন্দের হয়ে উঠতো। আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন সুস্ত রাখেন। ভক্ত দর্শক সহ দেশবাসীর কাছে আমার জন্য,আমার পরিবারের সবার কাছে দোয়া চাই।
কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন,এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়দর্শনী মৌসুমী বললেন, যখন সময় হবে তখনই ফিরব। এরই মধ্যে দেশে একটি বার ঘুরে আসার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু শেষমেশ আর দেশে আসা হলো না। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হলে দেশে ফেরার ইচ্ছা আছে। বাকিটা আল্লাহ জানেন। এদিকে প্রিয়দর্শনী মৌসুমি গত শুক্রবার রাতে কথা বলার সময় বিশেষভাবে খোঁজ নিয়েছেন দেশের কিংবদন্তি ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ ও তার স্ত্রীর রায়না মাহমুদের।
চঞ্চল মাহমুদের ক্যামেরাতেই প্রথম ফ্রেমবন্দি হন মৌসুমী। বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার আগে কিংবা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগেই প্রথম তিনি চঞ্চল মাহমুদের ক্যামেরায় নিজেকে প্রথম দেখেন। আর তখনই মৌসুমী নিজের ফটোজেনিক সুন্দর মুখশ্রীর সম্পর্কে অবগত হন । এরপর মৌসুমী বিজ্ঞাপনের মডেল হন। চলচ্চিত্রের নায়িকা হন। ১৯৯৩ সালের ২৫ শে মার্চ আয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমাতে রেশমি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যেও দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে মৌসুমী অভিষেক হয়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন প্রয়াত অমর নায়ক সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট তিনি চিত্রনায়ক ওমর সানিকে বিয়ে করেন। মৌসুমী অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে _ দোলা, আত্ম অহংকার, স্নেহ, দেনমোহর, অন্তরে অন্তরে, মাতৃত্ব, দেবদাস,বিশ্ব প্রেমিক, সুখের ঘরে দুখের আগুন, গরিবের রানী, প্রিন্সেস ডায়না, আম্মাজান, বউয়ের সম্মান, মেঘলা আকাশ, ইতিহাস, লাল দরিয়া, তারকাটা, খাইরুল সুন্দরী, মোল্লা বাড়ির বউ, দুই বধু এক স্বামী, ইত্যাদি। তার পরিচালিত সিনেমা দুটি। একটি কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, অন্যটি মেহেরনিগার। মেঘলা আকাশ,দেবদাস ও তারকাটা, সেনেমাতে অভিনয়ের জন্য মৌসুমী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন হয়েছেন।