অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ৪ সহজ পথ।
১/ কনটেন্ট ক্রিয়েশন।
আপনি চাইলে কন্টেন্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশে হাজার হাজার তরুণ তরুণী রয়েছে যারা কন্টেন্ট তৈরি করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনি একটি কন্টেন্ট তৈরি করে, ইউটুব,ফেজবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, এই চারটি প্লাটফর্মে আপলোড করে এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন অনেক বলবেন আমি কন্টেন্ট কিভাবে তৈরি করব, কন্টেন্ট তৈরি করা অনেক কষ্টের এবং এইখান থেকে ইনকাম করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, এবং ধৈর্য ধরতে হয়। আপনি কিছু একটা দিয়ে সুরু করলে আপনার সামনে অনেক কিছু চলে আসবে, আপনি যেকোনো একটি নির্দিষ্ট নিস সিলেক্ট করুন। এবং সেই নিসের উপর কনটেন্ট তৈরি করতে শুরু করুন। অনেক নিস আছে এবং ক্যাটাগরি আছে। যেমন : ফানি, টেকনোলজি, ইন্টারটেইনমেন্ট, ইত্যাদি। আপনি যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে শুরু করতে পারেন। এবং ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে আপনাকে কিছু বেসিক জিনিস জানতে হবে, যেমন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ক্রিয়েট, ফটো এডিটিং, ইত্যাদি আপনি এই কাজটি প্রতিদিন করতে থাকুন। এক সময় গিয়ে দেখবেন আপনার এইখান থেকে কিছু টাকা ইনকাম হচ্ছে। এর পরে ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার এইখান থেকে অনেক ভালো পরিমাণে একটা ইনকাম জেনারেট হচ্ছে। তখন আপনি এইটার উপর ডিপেন্ডেন্ট হতে পারবেন।
২ / ব্লগিং।
ব্লগিং বলতে আমরা মনে করি কন্টেন্ট তৈরি করা। হ্যা, তবে ব্লগিং একটু আলাদা, ব্লগিং হলো লেখালেখি করা। আপনি জদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি ব্লগিং সুরু করতে পারেন। আপনি যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন আমরা যখন গুগলে গিয়ে সার্চ করি তখন আমাদের সামনে অনেক ওয়েবসাইট চলে আসে তাই না। আমরা ঐখান থেকে যে কোন একটা ওয়েবসাইট এর উপর ক্লিক করে আমরা কিছু ডিসক্রিপশন লেখা দেখতে পায়। তারপর আমরা ঐটা পড়ি। বুঝতে পারেন নাই। আমি বুঝিয়ে বলছি, মনে করেন আমি একটা মোবাইল কিনবো এখন আমি গুগলে গিয়ে সার্চ করলাম। এর পর দেখলাম আমার সামনে অনেক ওয়েবসাইট চলে আসছে, আমি একটা ওয়েবসাইট ওপেন করলাম, এর পর আমি ঐখান থেকে পড়তে সুরু করলাম মোবাইল কি কি ফিউচারস আছে। এইটা হচ্ছে কেউ একজন লিখে পোস্ট করেছে। এবং আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ঐখানে কিছু বিজ্ঞাপন শো হচ্ছে এদের মূলত ওই বিজ্ঞাপন থেকেই ইনকামটা হয়। আপনিও ঠিক এইভাবে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে লেখালেখি শুরু করতে পারেন। এরপর আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভিজিটর আসতে শুরু করবে। তখন গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে এডসেন্স অ্যাপ্রভাল নিতে হবে। তারপর google এডসেন্স থেকে আপনার ওয়েবসাইটে এড শো করানো হবে। আপনার ভিজিটররা যখন ওই অ্যাড গুলো দেখবে তখন আপনার একটা আর্নিং জেনারেট হবে। ব্লগিং করে এই পদ্ধতিতেই টাকা ইনকাম করা যায়।
৩/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে করতে হয়। চলুন জেনে নেই, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বুঝায় কোন ব্যাক্তি বা কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেল করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন, অ্যামাজন alibaba, Amazon, fiverr, এগুলো হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস, যেইখানে আপনি অনেক পন্যা বা সার্ভিস পেয়ে যাবেন। এইখানে আপনাকে প্রথমে একটা আ্যফিলিয়েট একাউন্ট করতে হবে। এর পর আপনি যখন এই মার্কেটপ্লেস থেকে কোন পণ্যপাত প্রোডাক্ট সেলস করবেন। আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে একটা কমিশন পাবেন। এইটাকে বলে আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং।
৪/ ফ্রিল্যান্সিং।
বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে হাজার হাজার তরুণ তরুণী ফ্রিল্যান্সিং করছে। এবং এখান থেকে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করছে। আপনার যদি একটি ল্যাপটপ অথবা একটি পিসি থাকে তাহলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলা সেক্টর আছে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইত্যাদি, এর মধ্য থেকে আপনাকে যে কোন একটি বিষয়ের উপর কিছু কাজ শিখতে হবে এবং এই বিষয় নিয়ে আপনাকে অনলাইনে প্রচুর স্টাডি করতে হবে। যখন আপনি কাজ শিখে যাবেন। freelancer, fiverr, peopleforour, upwork এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। আপনি এখানে কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। তারপর কোন বায়ারের যদি আপনার কাজ ভালো লাগে তাহলে সে তার কাজ আপনাকে দিবে। এইভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যায়।
আমি আপনাকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করার কথা বলেছি। কিন্তু সব যায়গা থেকে টাকা ইনকাম করতে হবে এমন কোন কথা নাই। আপনি যে কোন একটি বিষয়ের উপর ফোকাস করেন এবং প্রতি দিন সঠিক ভাবে কাজ করেন। একটু ধৈর্য ধরেন দেখবেন একসময় আপনি সফল হতে পেরেছেন। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন ধৈর্যের ফল সবসময় মিষ্টি হয়। ধন্যবাদ।