সম্প্রতি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস “নগদ” এর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন আর্থিক রিপোর্টে দেখা গেছে, ২৩৫৬ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের সঠিক হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই ঘটনায় আর্থিক খাতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
কিভাবে ঘটল এই কেলেঙ্কারি?
বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নগদের অভ্যন্তরীণ হিসাব ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। লেনদেনের সঠিক তথ্য সংরক্ষণে অবহেলা, জালিয়াতি ও স্বচ্ছতা ঘাটতির কারণে এত বড় অঙ্কের অর্থের হিসাব গরমিল হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রভাব ও পরিণতি
অর্থের এই বিশাল অঙ্কের হিসাব মেলাতে না পারা গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করতে পারে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে নগদের আর্থিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখছে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হিসাব নিরীক্ষার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গ্রাহকদের করণীয়
গ্রাহকদের তাদের নগদ অ্যাকাউন্টের লেনদেন সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেন দ্রুত নগদের হটলাইনে জানাতে বলা হয়েছে।
নগদে বিপুল অর্থ কেলেঙ্কারি: ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব উধাও!
সম্প্রতি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস “নগদ” এর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন আর্থিক রিপোর্টে দেখা গেছে, ২৩৫৬ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের সঠিক হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই ঘটনায় আর্থিক খাতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
কিভাবে ঘটল এই কেলেঙ্কারি?
বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নগদের অভ্যন্তরীণ হিসাব ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। লেনদেনের সঠিক তথ্য সংরক্ষণে অবহেলা, জালিয়াতি ও স্বচ্ছতা ঘাটতির কারণে এত বড় অঙ্কের অর্থের হিসাব গরমিল হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রভাব ও পরিণতি।
অর্থের এই বিশাল অঙ্কের হিসাব মেলাতে না পারা গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করতে পারে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে নগদের আর্থিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখছে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হিসাব নিরীক্ষার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গ্রাহকদের করণীয়।
গ্রাহকদের তাদের নগদ অ্যাকাউন্টের লেনদেন সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেন দ্রুত নগদের হটলাইনে জানাতে বলা হয়েছে।
নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি: ২৩৫৬ কোটি টাকার ফরেনসিক নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত
মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেড-এ ২৩৫৬ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম এবং জালিয়াতির ঘটনায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেনে গুরুতর অসংগতি ও জালিয়াতি ধরা পড়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফরেনসিক নিরীক্ষা পরিচালনার, যা জালিয়াতি ও সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করবে।
প্রভাবশালীদের ভূমিকা ও কর্তৃপক্ষের নীরবতা
ঘটনার সময় নগদের পরিচালনায় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ডাক অধিদপ্তর সব দেখেও নীরব ছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ফরেনসিক নিরীক্ষার লক্ষ্য
ফরেনসিক নিরীক্ষা হলো আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের উৎস, গন্তব্য এবং অনিয়মের সুবিধাভোগীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া। এতে নির্ধারিত হবে কীভাবে এবং কারা আর্থিক জালিয়াতিতে জড়িত ছিল।
ডাক অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও আইনি পদক্ষেপ
নগদ লিমিটেড মূলত ডাক অধিদপ্তরের সাময়িক অনুমতিপত্র নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল, তাই আর্থিক ঘাটতির চূড়ান্ত দায়ও ডাক অধিদপ্তরের ওপর বর্তাচ্ছে। ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীন জানান, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
ডিজিটাল জালিয়াতির বিস্ময়কর চিত্র: নগদে ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব গরমিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নগদে নিযুক্ত প্রশাসক আর্থিক অনিয়ম তদন্ত শুরু করেন। এতে বেরিয়ে আসে দেশের সবচেয়ে বড় **ডিজিটাল জালিয়াতি**র তথ্য, যার মধ্যে রয়েছে ভুয়া পরিবেশক তৈরি, অতিরিক্ত ই-মানি ইস্যু, এবং সরকারি ভাতার টাকা আত্মসাৎ।
অতিরিক্ত ই-মানি ইস্যু: ৬৪৫ কোটি টাকা।
নথি অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, নগদের ব্যাংক হিসাবে থাকা টাকার সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করার নিয়ম ছিল। কিন্তু প্রশাসক দল দেখতে পায়, নগদ অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করেছে, যা সরাসরি চুক্তিভঙ্গ এবং আর্থিক প্রতারণার শামিল।
পরিবেশক জালিয়াতি: ১৭১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ।
নগদ ৪১টি অনুমোদনহীন পরিবেশক হিসাব তৈরি করে ১৭১১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এসব পরিবেশক ভাতাভোগীদের সরকারি ভাতা বিতরণের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু প্রশাসকের তদন্তে দেখা গেছে, কাগজে-কলমে যাদের টাকা বিতরণ করা হয়েছে, অনেকেই প্রকৃত অর্থে টাকা পাননি। এমনকি কুমিল্লার পরিবেশক রংপুরের ভাতাভোগীদের টাকা বিতরণ করেছে, যা জালিয়াতির একটি বড় উদাহরণ।
সরকারি ভাতার টাকা আত্মসাৎ।
সরকারি ভাতার অর্থ বিতরণের পর তিন দিনের মধ্যে যেসব ভাতাভোগী টাকা তুলতে ব্যর্থ হন, তাঁদের অর্থ সরাসরি নগদ কর্তৃপক্ষ তুলে নেয়। এটি ছিল সুপরিকল্পিত একটি প্রতারণা, যেখানে বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা।
তদন্তে আরও জানা যায়, নগদের মালিকানায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সরকারি ভাতা বিতরণের একচেটিয়া অধিকার পেতে নগদকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে সরকারপ্রধানদের যোগসাজশে এই কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়।
নগদের আর্থিক জালিয়াতি: অনিয়মে জড়িত ছয় কর্মকর্তার তালিকা, তদন্তে নতুন মোড়।
নগদ লিমিটেডে ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব গরমিল এবং ডিজিটাল জালিয়াতির তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। প্রশাসক দলের চূড়ান্ত করা ছয় কর্মকর্তার তালিকা ডাক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীন পরিবেশক নিয়োগ এবং অতিরিক্ত ই-মানি ইস্যু করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জড়িত সন্দেহভাজন ছয় কর্মকর্তা।
১. সাফায়েত আলম – নির্বাহী পরিচালক
2. মোহাম্মদ আমিনুল হক – অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক
3. গোলাম মর্তুজা চৌধুরী – উপব্যবস্থাপনা পরিচালক
4. আবু রায়হান – প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা
5. রাকিবুল ইসলাম – আর্থিক প্রশাসন ও পরিচালনা বিভাগের প্রধান
6. নাজমুস সাকিব আকিব – সলিউশন ডিজাইন বিভাগের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট
বরখাস্ত কর্মকর্তারা ও মালিকানার সংশ্লিষ্টতা।
আগের প্রশাসন থেকে পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
– তানভীর আহমেদ – সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও)
– নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে এলিট – নির্বাহী পরিচালক
– মারুফুল ইসলাম ওরফে ঝলক – নির্বাহী পরিচালক
– খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান (সোলায়মান সুখন) – উপপ্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা
– অনিক বড়ুয়া – মানবসম্পদ কর্মকর্তা
তদন্তে দেখা গেছে, তাদের অনেকে নগদ লিমিটেডের মালিকানায়ও রয়েছেন, যা কেলেঙ্কারির জটিলতা আরও বাড়িয়েছে।
প্রশাসকের আইনি পদক্ষেপ ও চিঠি।
নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ৫ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জানান, চুক্তিভঙ্গ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার ডাক বিভাগের রয়েছে। তবে প্রশাসক দল সরাসরি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না।
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরক্ষার যুক্তি।
সাবেক সিইও তানভীর আহমেদ দাবি করেছেন, তার মেয়াদে ৩৪৫ কোটি টাকার ঘাটতি থাকলেও তা ৬০ কোটিতে নেমে এসেছিল এবং তার সময়ে অন্য কোনো অনিয়ম হয়নি।
একজন সাবেক নগদ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি একটি ব্যাংক ঋণ সমন্বয় প্রকল্পের অংশ ছিল এবং এটি কিস্তিতে পরিশোধের পরিকল্পনা ছিল। তবে প্রশাসক তা বন্ধ করে দেন। কিছু ই-মানি পরিচালন খরচ মেটাতে ইস্যু করা হয়েছিল বলে তার দাবি।
বর্তমান পরিস্থিতি।
নগদ লিমিটেডের কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে। নতুন অফার বন্ধ এবং প্রচারণা কার্যক্রম স্থগির রয়েছে। ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রশাসক শুধুমাত্র আগের অনিয়ম খুঁজে বের করায় মনোযোগী বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নগদের উত্থান ও অনিয়মের ইতিহাস: চুক্তি থেকে ডিজিটাল ব্যাংকিং পর্যন্ত।
বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবার অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের যাত্রা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত জড়িত রয়েছে চুক্তিভঙ্গ, প্রশাসনিক শিথিলতা এবং আর্থিক অনিয়মের নানা অধ্যায়। ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে ২০১৭ সালের চুক্তি এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং অনুমোদন পাওয়ার পেছনের জটিলতাগুলো এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
১৭: চুক্তির সূচনা ও শর্তভঙ্গ।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গ্রাহক কমিশন থেকে আয়ের ৫১% ডাক বিভাগ এবং ৪৯% থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি পাবে। এর উদ্দেশ্য ছিল পোস্টাল ক্যাশ কার্ড চালু করা, যার সঙ্গে ডিজিটাল আর্থিক সেবা যোগ করার সুযোগ রাখা হয়।
২০১৮-২০১৯: নিয়মের বাইরে নগদের যাত্রা।
২০১৮ সালের ৮ আগস্ট, ডাক অধিদপ্তর বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘নগদ’ নামে মোবাইল আর্থিক সেবার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। তবে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ, ডাক অধিদপ্তর আইনি পরিবর্তন করে নগদের কার্যক্রম শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাটি উদ্বোধন করেন।
২০২০: অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দেয়। তবে শর্ত ছিল যে ডাক বিভাগের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হবে, যা থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি পালন করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো কার্যকর তদারকি করেনি, বরং বারবার অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
নগদ লিমিটেডে রূপান্তর ও অগ্রগতি।
এই সময়ে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নিজেই নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় নগদ লিমিটেড। সরকারি ভাতা বিতরণ ও হিসাব খোলার সুযোগে নগদ দ্রুত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি, এবং দিনে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুমতি।
মোবাইল আর্থিক সেবার চূড়ান্ত অনুমতি না পেলেও, নগদকে প্রথমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পরে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর প্রাথমিক অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।